ধারাবাহিক নাটক ‘কবুলিয়তনামা’

গ্রাম জুড়ে দাঙ্গা । এর উৎস খুবই সামান্য বিষয় । একজন আরেকজনকে কথা দিয়েও ভ্যানে না তোলার কারণে দুজনের মধ্যে বিবাদ । এই বিবাদ থেকে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ এবং সেখান থেকেই গ্রাম জুড়ে দাঙ্গা । দাঙ্গায় কয়েকজন জখম হলো। থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ালো ব্যাপারটা।

গ্রামের সিকদার গোষ্ঠীর আনোয়ার দলবল নিয়ে রাস্তার এ মাথায় পাহারা বসায়, অন্যদিকে শামসু মোল্লা দলবল নিয়ে বদু সিকদারের মাথা ফালা ফালা করে দেয়। সিকদারদের জাগিয়ে তুলতে মতি সিকদারকে যখন ব্যান্ডেজ করা হয়। তখন হুলুস্থুল বাঁধানো হয় জব্বার মোল্লার বোন লাইলী তখন মরিয়া হয়ে ওঠে মনাব্বর মোল্লাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য। মশাইদের মেয়ে পদ্মা যখন ছল করে মোল্লাকে সিকদারদের হাত থেকে বাঁচায়। আনোয়ার সিকদার তখন পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ঢুকে পড়ে ভেলা বিশ্বাসের যুবতী মেয়ে গোলনাহারের ঘরে। লেয়াকত সিকদারের মেয়ে পরী যখন মতি সিকদারের কাছাকাছি আসে ভেলা বিশ্বাসের মেয়ে নুরুননাহার তখন আলম বিশ্বাসের কাছ থেকে খুব বেশি দূরে থাকে না। এইভাবে এক ঘটনা হাজার ঘটনার জন্ম দেয়। হাজার ঘটনা মানেই হাজারটা বিচার-বৈঠক। বিচার-বৈঠক মানেইতো বিচারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া, কবুল করা। গ্রাম-সমাজের এইসব গল্প-গাঁথা নিয়েই রচিত দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘কবুলীয়তনামা’। ধারাবাহিকটি এটিএন বাংলায় প্রচার হচ্ছে রবি থেকে বৃহস্পতিবার, রাত ৮.৪০ টায় । কাজী শাহীদুল ইসলাম এর রচনায় ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন সালাহউদ্দিন লাভলু । ধারাবাহিকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রহমত আলী, ফজলুর রহমান বাবু, বন্যা মির্জা, হারুনুর রশীদ, ডা: এজাজ, মোশাররফ করিম, আরফান আহমেদ, প্রভা, আ খ ম হাসান, রওনক হাসান, তানিয়া, সায়কা আহমেদ, সোমা, সুমনা, লাবন্য লিজা, আহমেদ ফারুক, মইন, জুয়েল, হুমায়রা, বৃষ্টি, শেলী আহসান প্রমূখ।