
কুমিল্লা প্রতিনিধ:
প্রথম ময়নাতদন্তে কোন আলামত না মিললেও কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর ডিএনএ রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির কুমিল্লা ও নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান।
তিনি বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষায় কয়েকজন পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।’
সোমবার রাতে কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তনুর পরিবার। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সামনে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘সিআইডি কর্তৃক মামলার তদন্ত ও যে ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট, ডিএনএ পরীক্ষায় ৩ জন তনুকে ধর্ষণ করেছে বলে আলামত পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।’
তারা আরও জানান, ‘পুরো দেশবাসী এ বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে, আশা করি সিআইডি খুব শিগগিরই ঘাতকদের গ্রেপ্তারর করে বিচারের আওতায় আনবে।’
এদিকে এ ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না এ বিতর্কের অবসান হচ্ছে।
গত ২০ মার্চ সোহাগী জাহান তনুকে হত্যা করে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে দেয় ঘাতকরা। পুলিশ, ডিবির পর বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
গত ৩০ মার্চ তনুর মরদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ৪ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে দেয়া প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
তনু হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ধর্ষণের সন্দেহের কথা জানালেও ১৫ দিন পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সেই ধরনের আলামত না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল।
এরপর আদালতের আদেশে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে তনুর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। সেই পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানান সিআইডি।
ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর খুনিদের দুই মাসেও শনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও রয়েছে।