টাইগারদের টানা পঞ্চম সিরিজ জয়

২০১৪ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আবারও জিম্বাবুয়ে এই টাইগারদের কাছে বধ হতে বাধ্য হল। টাইগারদের এই জয়রথ ক্রিকেট বোদ্ধাদের নতুন ক্রিকেটীয় ত্রাস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করছে।

আর সাফল্যর ২০১৫ সালে ১৭ ম্যাচ খেলে ১২ ম্যাচে জয় তুলে নিল টাইগার বাহিনী, যেখানে শতকরা হার বিবেচনায় বাংলাদেশের আগে শুধু অস্ট্রেলিয়াই আছে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেয়া ২৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-০ তে জিতে নিলো বাংলাদেশ।

২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে দলীয় ২৩ রানে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ রানে আউট হন চাকাবা। আর, মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে ১৪ রানে বিদায় নেন চামু চিবাবা।

ব্যক্তিগত ১৪ রানে মুস্তাফিজের বলে শর্ট মড উইকেট অঞ্চলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাবিলিয়নের পথ ধরেন শন উইলিয়ামস। আরাফাত সানির বলে দলীয় ৭৮ রানের মাথায় উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া আরভিনকে দারুণ এক রান আউটে ফেরান লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ রান।

CRICKET-BAN-ZIM

অতিথিদের সবচেয়ে বড় জুটি গড়ে উঠে চিগুম্বুরা ও সিকান্দার রাজার মধ্যে। তাদের ৭৩ রানের জুটি জয়ের পথে নিয়ে আসে জিম্বাবুয়েকে। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ১৫১ রানের মাথায় সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন আল আমিন।

১৫৬ রানের মাথায় আবারও আল আমিনের আঘাতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন চিগুম্বুরা। সাথে সাথে পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে চলে আসে। আউট হওয়ার আগে চিগুম্বুরা করেন ৪৭ রান। ১৭৫ রানে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটান অনিয়মিত বোলার নাসির হোসাইন।

৪৩ তম ওভারে দারুণ এক কাটারে লুক জাংয়েকে বোল্ড আউট করেন তরুণ মুস্তাফিজ।

226489.3

একই ওভারে মুস্তাফিজের বলে বিভ্রান্ত হয়ে টাইগার দলপতির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পানিয়াঙ্গারা।

প্রথম ওয়ানডের মত আবারও জিম্বাবুয়ের ইনিংসে শেষ পেরেকটি মারেন নাসির। ডাউন দ্যা উইকেটে মারতে এসে বোল্ড হন গ্রায়েম ক্রিমার। ১৮৩ রানেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে চিগুম্বুরা সর্বোচ্চ ৪৭, সিকান্দার রাজা ৩৩ এবং আরভিন ২৬ রান করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে আল আমিন, নাসির ২টি, মুস্তাফিজ ৩টি, মাশরাফি এবং সানি ১টি করে উইকেট দখল করেন।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩২ আর ব্যক্তিগত ১৯ রানে তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি।

তবে চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৪৮ রান যোগ করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ইমরুল কায়েস। মুশফিক ২১ রানে ফিরে গেলেও ইমরুল তুলে নেন ক্যারিয়ারের একাদশ অর্ধশত রান। তিনি আউট হন ৭৬ রানে।

CRICKET-BAN-ZIM imrul kayes ইমরুল কায়েস

এরপর ষষ্ঠ উইকেটে নাসির হোসেন ও সাব্বির রুম্মন ৪২ রান যোগ করে দলকে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সাব্বির ৩৩ ও নাসির হোসেন ৪১ রানে বিদায় নিলে বড় স্কোর গড়া হয়নি টাইগারদের।

CRICKET-BAN-ZIM

শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৪১ রান করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের পানিয়াঙ্গারা নেন ৩ উইকেট।

ম্যাচ শেষে বেস্ট বাংলাদেশী পারফর্মারের পুরস্কার জেতেন আল আমিন।ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন সৌম্য সরকারের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়েস। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটিও একই মাঠে বৃহস্পতিবার দিবারাত্রিতে শুরু হবে।