
এটিএন বাংলা ডেস্ক:
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ আরও ঘনীভূত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়েরর কারণ উপকূলীয় এলাকার সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
নিম্নচাপটি মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১শ ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, মংলা, কক্সবাজার ও পায়রা বন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। আর নদী বন্দর গুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মংলা প্রতিনিধি জানান, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ এর কারনে মংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্নিঝড়টি বর্তমানে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১শ ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া সকল নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঘাটে থাকতে বলেছে। এর প্রভাবে বিকেল থেকে মংলা ও সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাস বয়ে যাচ্ছে ।
এদিকে বন্দর কর্তপক্ষের মেম্বার অপারেশন আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজ গুলকে সর্তক রাখা হয়েছে । এছাড়া বন্দরে ১টি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে । তাছাড়া বন্দরের পশুর চ্যানেল ও হাড়বাড়িয়া অবস্থানরত জাহাজের পন্য বোঝাই খালাস কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে ।
কোস্টগার্ড এর মংলার জোনাল কমান্ডার জানান, দূযোর্গপরবর্তী উদ্দারের জন্য তাদের বোট ও জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে । এছাড়া কোস্ট গার্ড ১টি কন্ট্রোল রুম চালু রেখেছে ।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসন দূযোর্গ মোকাবেলায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল সহ ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রেখেছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী প্রিন্স ।