কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

১৯ ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় কার্যকরকে সামনে রেখে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ এবং র‌্যাব। কারাগারের সামনের ফটকের যান চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।

কারা ফটকে সংবাদ কর্মীদের ভির বাড়ছে। উৎসুক জনতার ভীরও লক্ষ করা গেছে।

সোমবার বিকেল থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। সন্ধ্যায় নিজামীর রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌছে।  এর পরই কারাগারের চিত্র পাল্টাতে থাকে।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। প্রচুর পরিমাণে পুলিশ এবং র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান জল্লাদ রাজুকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।

এর আগে সোমববার দুপুরে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিচারপতিরা রায়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর রায়টি প্রকাশ করা হয়।

রায় প্রকাশের পর বিকেলে রায়ের কপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁসির আসামি নিজামীকে এই রায় পড়ে শুনিয়ে জানতে চান তিনি কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না। তিনি এখনও জানাননি।

আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী নিজামীর সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি রয়েছে।

তবে ক্ষমা ভিক্ষা না চাইলে জেল কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা করবে। সে ক্ষেত্রে দণ্ড কার্যকরের জন্য কারাকর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গত বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কাশিমপুর কারাগারে থাকা নিজামীকে ওই দিনই মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার খবর জানানো হয়। পর দিন শুক্রবার নিজামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।

এর পর রোববার রাতে মতিউর রহমান নিজামীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।