কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান ‘লাখো কন্ঠে বিদ্রোহী কবিতা’

এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজে সরাসরি সম্প্রচার

এটিএন বাংলা ডেস্ক:

বাংলা ভাষার বিখ্যাত কবিতা সমুহের মধ্যে অন্যতম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। ১৯২২ সালে কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় তৎকালীন বিজলী পত্রিকায়। এরপর মাসিক প্রবাসী, মাসিক সাধনা এবং তারপর ধূমকেতু। প্রতিটি পত্রিকায় কবিতাটি প্রকাশ হবার পর তা ব্যপক জাগরণ সৃষ্টি করে। দৃপ্ত বিদ্রোহী মানষিকতা, অসাধারণ শব্দবিন্যাস ও ছন্দের জন্য বাঙালি মানসে কাবিতাটি ‘চির উন্নত শির’ বিরাজমান। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা হীনমন্যতা ও বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে ব্যক্তি, সমাজ, জাতি তথা বিশ্ব মানবকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দীক্ষা দেয়।

বাংলাদেশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি ও কর্ম নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নজরুলের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে চর্চা ও গবেষণা করছে নিয়মিত। বাঁশরী এমনই একটি প্রতিষ্ঠান যারা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি কর্ম চর্চা ও গবেষণা করে থাকে।

এবার ‘বাঁশরী’ ও ‘বিএনসিসি’ [বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর’] নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহনে করছে। এই উদ্যোগের নাম ‘লাখো কন্ঠে বিদ্রোহী কবিতা’ পাঠ। এই উদ্যোগের সাথে সামিল হয়েছে দেশের প্রথম বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা ও সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল এটিএন নিউজ। আগামী পহেলা মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাঁশরী’ ও ‘বিএনসিসি’ আয়োজিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান ‘লাখো কন্ঠে বিদ্রোহী কবিতা’। বিএনসিসির’ প্রায় ২০ হাজার সদস্য সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান।

বিদ্রোহী কবিতাটি যাতে লাখো কন্ঠেই উচ্চারিত হয় সেজন্য একযোগো কাজ করে যাচ্ছে ‘বাঁশরী’ ও ‘বিএনসিসি’। দেশের সর্ব স্তরের জনগন কবিতা পাঠে অংশগ্রহন করতে পারবেন। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ ‘লাখো কন্ঠে বিদ্রোহী কবিতা’ পাঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে পহেলা মে’ ২০১৭, বিকাল ৪.১০টা থেকে বিকাল ৪.৫০টা পর্যন্ত সরাসরি করবে। অনুষ্ঠান প্রযোজনার দায়িত্ব পালন করবেন মুকাদ্দেম বাবু, আবদুস সাত্তার ও মোশতাক হোসেন।