
বিশ্বজুড়ে সিনেমা অঙ্গন এখন আগের চেয়ে বেশি ব্যস্ত। সম্প্রতি একই দিনে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে দ্রুত ব্লকবাস্টার হয়ে ওঠা দুটি চলচ্চিত্র- গ্রেটা গারউইগের বার্বি এবং ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহেইমার। সিনেমা দুটির জন্য দর্শকদেরও উত্তেজনার শেষ ছিল না। ইতোমধ্যে সমালোচকরা সিনেমা দুটি নিয়ে রিভিও-রেটিং দিচ্ছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন বলছে, হলে আসার পরেই দুটি সিনেমা প্রত্যাশার চেয়েও ব্যাপকভাবে দর্শকপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গেছে। এটি সম্ভবত প্রমাণ করে, দর্শকরা সিক্যুয়েল এবং সুপারহিরো ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো দেখতে দেখতে ক্লান্ত।উদ্বোধনী সপ্তাহান্তে মার্কিন বক্স অফিসে বার্বি ১১০ মিলিয়ন ডলার এবং ওপেনহেইমারের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যে হারে আয় হচ্ছে সেভাবে চলতে থাকলে বার্বি আয় করবে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে ওপেনহেইমার ৭৫ মিলিয়ন ডলার আয় করতে চলছে।
নিউ ইয়র্কস টাইমসের এক প্রতিবেদন বলছে, সিনেমাপ্রেমীরা যে সবসময় নতুন কিছুই খোঁজে, বার্বি এবং ওপেনহেইমার তার উদাহরণ। একটি বিস্ময়কর আয়ের দিকে এগিয়ে চলছে সিনেমা দুটি। হলিউডকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, আপনি যদি সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে অবশ্যই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের নতুন কিছু দিতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হলিউড অবশেষে মহামারী থেকে ফিরে এসেছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে উত্তর আমেরিকার মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনাটিং পার্ট ওয়ান’ এবং ‘সাউন্ড অফ ফ্রিডম’-এর মতো চলচ্চিত্রগুলোর মতোই ‘বার্বি’ এবং ‘ওপেনহেইমার’-এর আয় মার্কিন বক্স অফিসে প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, বিভিন্ন দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘন করতে পারে- এমন দৃশ্যগুলো নিয়ে উদ্বেগের কারণে বার্বি নিয়ে নানা পর্যালোচনা করছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে, দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ক্রিস্টোফার নোলান ওপেনহাইমারকে তার তৈরি ‘সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ওপেনহাইমারের নায়ক সিলিয়ান মারফি বলছেন, পর্দায় তাকে দেখা যাচ্ছে বলেই সিনেমাটি দেখতে দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তিনি বলেছিলেন, সিনেমাটি সকল ধরণের দর্শকদের একসঙ্গে দেখার মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে।