
এটিএন বাংলা ডেস্ক:
এটিএন বাংলায় আজ (২২ ডিসেম্বর) থেকে প্রচার শুরু হচ্ছে সাপ্তাহিক টেলিফিল্ম। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, রাত ১০.৫৫টায় প্রচার হবে একটি করে টেলিফিল্ম। এ সপ্তাহের টেলিফিল্ম ‘ফেরারী’। রচনা- শফিকুর রহমান শান্তনু, পরিচালনা- সাখাওয়াৎ মানিক। অভিনয়ে- জাহিদ হাসান, ফারহানা মিলি, সমাপ্তি মাসুদ, নাজিরা আহমেদ মৌ, সুস্মিতা প্রমুখ।
টেলিফিল্মের কাহিনী:
শোভন একজন চিত্রপরিচালক। তার ঝুলিতে প্রচুর হিটসিনেমা থাকা সত্তেও সম্প্রতি একটা ফ্লপ ছবির ঘানি টানতে হচ্ছে। চারদিকে বিতর্ক, ঠাট্টার ঝড় সব এড়িয়ে নিজের মত করে কটা দিন কাটাতে সে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার এক বীচ রিসোর্টে। এক রাতে তার স্যুটের দরজায় নক হয়। সে দরজা খুলে দেখে এক মাতাল বাংলাদেশি তরুনি। ভুল করে একরুমে নক করে বসেছে। শোভনকে দেখে সে মাফ চেয়ে চলে যেতে নেয়। কিন্তু তার আগেই মেয়েটি বিচ্ছিরি কান্ড বাধিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ভোরে জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি বিব্রত ভঙ্গিতে তার পরিচয় দেয়। তার নাম শীলা। তার স্বামী একটা বিজনেস মিটিংএ এখন সিঙ্গাপুর আছে। আগামি দুদিন পরে তাদের বিয়ের ১ বছর পূর্তি হবে। এ উপলক্ষ্যে সে দেশ থেকে এসেছে। তার স্বামীরও আসার কথা ছিল সিঙ্গাপুর থেকে। কিš‘ একটা জরুরি কাজে আটকা পড়েছে। আগামি কাল আসবে। কথাপ্রসঙ্গে শোভন জানায়, তার এক্স ওয়াইফ একজন বিমানবালা। সেও ভ্যাকেশন কাটাতে এখানে আসবে আগামিকাল। দেখা যায়, আজকের দিনটা তারা একদম ফ্রি। তাই দিনটাকে আনন্দময় করে তুলতে তারা সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। অনেক মজা করে। ছোটখাট একটা বিপদের হাত থেকে শীলাকে বাঁচায়ও শোভন। এখানে শীলার দুক্ষবোধের একটা জায়গা ধরা পড়ে। শোভন বোঝে, দাম্পত্য জীবনে শীলা সুখি না। দুজনের কিছু অতৃপ্তি অপ্রাপ্তি নিয়ে কথা উঠলেও একটা ভালেলাগা নিয়ে দিন শেষ হয়। পরদিন দুজনেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাদের প্রিয় মানুষদের সাথে। কিš‘ কোথাও একটা শূণ্যতাবোধ কাজ করে দুজনের মধ্যেই। শোভনের এক্স ওয়াইফ জুই ভেবেছিল, শোভন বোধহয় তাদের সম্পর্ক আবার নতুন করে শুরু করার জন্য তাকে এখানে ডেকেছে। কিন্তু শোভন বলে, সে ¯্রফে তাদের বন্ধুত্বের কারণেই ডেকেছে। শীলার প্রতি ভালোলাগার বিষয়টাও সে অস্বীকার করে না। অন্যদিকে শীলার স্বামী তপু একজন বদরাগি, স্বার্থপর টাইপ যুবক। তপু একপর্যায় বুঝতে পারে, শীলার মধ্যে কোন একটা পরিবর্তন এসেছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মৃদু কথা কাটাকাটিও হয়। গভীর রাতে শোভনের হোটেল রুমে ফোন কল আসে। শীলা ফোনে তাকে তখনই তার রুমে যেতে বলে। শোভন হন্তদন্ত হয়ে গিয়ে দেখে, মেঝেতে তপুর লাশ পড়ে আছে। তাদের মধ্যে নাকি কিছুখন আগে ঝগড়া হয়েছিল। হঠাৎ স্ট্রোক করে তপু। এখন সে কি করবে? শোভন তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত নেয়, লাশটা সরিয়ে ফেলতে হবে। পুলিশকে ইনফর্ম করলে অনেক ঝামেলা হবে। তারা ঐ রাতেই লাশটা একটা বড় লাগেজে ভরে নির্জন বীচে নিয়ে যায়। বালিতে লাশ চাপ দিয়ে ফিরে এসে দুজনেই হাপ ছাড়ে। পরদিন তারা ঠিক করে, শীলা দেশে চলে গিয়ে সবাইকে বলবে, তার স্বামী নিখোজ। পরি¯ি’তি ঠান্ডা হলে তারা বিয়ে করবে। তখনই এক তরুনীর আগমন। একটা খামে করে কয়েকটা ছবি দেখায় তাদের। ছবিগুলো তাদের গতরাতের লাশ মাটি চাপা দেয়ার। তাদেরকে মোটা অংকের টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। এখন এত টাকা কই পাবে শোভন? টাকা না পেলে শীলা তো ফাসবেই। সেও ফেসে যাবে খুনের দায়ে! এটা হ”েছ গল্পের এপিঠ। ওপিঠে যা অপেক্ষা করছে স্বপড়বকেও যেন তা হার মানায়। গল্পের সেই অপ্রত্যাশিত বাঁক বদল দর্শককে চমকে দেবে, এটা নিশ্চিত।