
এটিএন বাংলায় আজ (৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক ‘প্রজ্ঞা পারমিতা’। মাতিয়া বানু শুকু’র রচনায় নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন যুবরাজ খান ও মাতিয়া বানু শুকু। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ, শিমুল, সানজিদা প্রীতি, আফরান নিশো, তানিয়া হোসাইন, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, শম্পা রেজা, শাহেদ আলী, সুষমা সরকার, ডমিনিক, দ্বিপান্বীতা, দিহান, ফারজানা ছবি প্রমুখ।
মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে প্রজ্ঞা, একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সায়েন্স টিচার। ঢাকায় দাদীর পুরোনো বাড়ীতে সে তার দাদীর সাথে থাকে। প্রজ্ঞার মা বাবা কেউ নেই। সে ভালোবাসে পলাশকে, তারা বিয়ে করবে সব কথাবার্তা পাকা। বিয়ে নিয়ে প্রজ্ঞার পাগলামি তার কলিগ বন্ধুদের অস্থির করে তোলে। শেষ মুহুর্তে পলাশ জানায় সে প্রজ্ঞাকে বিয়ে করতে পারবে না। প্রজ্ঞা ভেঙে পড়ে এবং আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। আন্ডার-কন্সট্রাকশন বাড়ীর ছাদের শেষ প্রান্তে সে দাড়িয়ে আছে আকাশের দিকে মুখ তুলে শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে এমন সময় সেখানে এক পাগল আসে। পাগলটা প্রজ্ঞাকে একটা পেন্সিল দেয়। প্রজ্ঞার আতœহত্যা করা হয় না। ঘরে ফিরে সে মনের সব অভিমান তার ডায়েরী ‘প্রজ্ঞা পারমিতা’তে লিখে রাখে, অন্যদের অভিসম্পাৎ করে।
প্রজ্ঞা আবার স্কুলে যায় ক্লাস নেয় কিন্তু সে আর আগের মত উচ্ছল নেই। প্রজ্ঞা জানতে পারে তার কলিগ রোজানার বোনকেই পলাশ বিয়ে করেছে। প্রজ্ঞা আবার ডায়েরী লেখে সেই পেন্সিল দিয়ে। দুদিন পরে যে খবর শুনে সে ধাক্কা খায় তা হল সে ডায়েরিতে যাকে নিয়ে যা লিখেছিলো তাদের জীবনে তাই ঘটেছে। এবারে প্রজ্ঞা তার কলিগদের নিয়ে পরিক্ষামুলক ভাবে ডায়েরীতে লিখতে থাকে। এবং অবাক ভাবে তাই ঘটে যেতে থাকে তাদের জীবনে। ডায়েরী লিখতে লিখতে প্রজ্ঞার পেন্সিল ছোট হয়ে আসে। দাদী বলে অন্যদের নিয়ে যা তা সব করলি নিজের জন্য এক পাতাও তো লিখলি না। প্রজ্ঞা নিজের জন্য লিখতে বসে। পেন্সিলের শেষ আংশ দিয়ে সে বড় জোর পাঁচ ছয় লাইন লিখতে পারবে। তার তো চাইবার আছে আনেক কিছু। প্রজ্ঞা বুঝে পায় না এবারে সে কি লিখবে ? কিছু না পেয়ে প্রজ্ঞা আবারো সেই একই জায়গায় যায়, পাগলটার খোঁজে। পাগলটার দেখা পাওয়া যায়….।