
মুমিনুল হক অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় গত বছর আগস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন নেতৃত্ব তৈরির রব ওঠে। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর সাকিব-তামিমদের জায়গায় বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় প্রজন্মের ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসতে হবে। পারফরম্যান্স বা নেতৃত্ব সব দিকেই। সেই চিন্তা থেকেই সব দলে একজন করে সহ-অধিনায়ক করার পরিকল্পনা করে বিসিবি।
ওই সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর থাকায় এই ফরম্যাট নিয়েই চিন্তা বেশি ছিল। সেখানে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে। আর ওয়ানডের জন্য লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্তরা ছিলেন চিন্তায়। টেস্ট নিয়ে ওই সময় জোর চিন্তা করা না হলেও পরে লিটনকেই দেওয়া হয় সহ-অধিনায়কত্ব।ইতিমধ্যে ভারতের বিপক্ষে নেতৃত্বও দিয়েছেন লিটন। তার নেতৃত্বে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে হঠাৎ লিটনের নেতৃত্ব নিয়ে কথা উঠেছে। আসন্ন আফগান সিরিজে টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। অনুমিতভাবে লিটনের অধিনায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু এখন লিটনের অনীহায় টেস্টের নেতৃত্ব নিয়ে জাগে সংশয়।
তবে টেস্ট দলের নেতৃত্ব নিতে অনীহা লিটন দাসের, এমন খবর ভিত্তিহীন বলছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। দেশ রূপান্তরকে তিনি জানান, ‘লিটন যে টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী, সেটা তো আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও কাউকে জানায়নি। তার আগ পর্যন্ত অধিনায়কের অবর্তমানে সহঅধিনায়কই তো সহজাতভাবেই অধিনায়ক।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ নিতে গিয়ে আঙুল ভাঙ্গে সাকিব আল হাসানের। ফলে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্টে খেলা হবে না নিয়মিত অধিনায়কের।